"৫ ধরনের ব্যক্তিকে রমজানের রোজা না রেখে পরে তা কাজা করার অনুমতি দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা যা ইসলামের সহজতা ও মানবিকতার প্রকাশ। "
![]() |
৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে |
এই পাঁচ প্রকার ব্যক্তিরা হলেন:
১. অসুস্থ ব্যক্তি: রোজা রাখার কারণে কোনো জটিল রোগ সৃষ্টি বা পুরাতন রোগ বৃদ্ধির প্রবল ধারণা হলে, তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। সুস্থ হওয়ার পর কাজা করে নেবেন। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
তবে মনে রাখতে হবে, রোগ সৃষ্টি বা পুরাতন রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা যদি দৃঢ় হয়-- তাহলে তো কথা নেই। নতুবা একজন অভিজ্ঞ ও দ্বীনদার চিকিৎসকের মতামতের ভিত্তিতে রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে। (আল মুহিতুল বুরহানি : ৩/৩৫৯; আদ দুররুল মুখতার : ২/৪২২)
৩. গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারী: রোজা রাখার কারণে গর্ভবতীর নিজের কিংবা সন্তানের প্রাণহানি বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির প্রবল আশঙ্কা হলে তার জন্য রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে পরে এ রোজাগুলো কাজা আদায় করে নিবে। (আল মুহিতুল বুরহানি : ৩/৩৫৯)
৪. বৃদ্ধ বা দুর্বল ব্যক্তি: বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত সাবেত বুনানি (রহ.) বলেন,
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) যখন বার্ধক্যের কারণে রোজা রাখতে সক্ষম ছিলেন না; তখন তিনি রোজা না রেখে (ফিদিয়া) খাবার দান করতেন। (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৫৭০)
৫. হায়েজ ও নেফাসের সময় :
হায়েজ অর্থাৎ মাসিক ঋতুস্রাবের সময় এবং নেফাস তথা সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০ দিন নারীদের জন্য ওয়াজিব হলো রোজা না রাখা। এ অবস্থায় নামাজ ও রোজা কোনোটাই আদায় করা জায়েজ নেই। (বোখারি ও মুসলিম)
পরবর্তীতে রোজা কাজা আদায় করবে।
এসব ব্যক্তি রোজার সময় যেভাবে কাটাবেন
এক. অসুস্থতা, বার্ধক্য ইত্যাদি শরিয়তসম্মত কোনো সমস্যার কারণে কেউ রমজানের রোজা রাখতে সক্ষম না হলে— সে পানাহার করতে পারবে। তবে রোজাদারদের অগোচরে পানাহার করা উচিত।
দুই. মুসাফির যদি দিনের বেলা সফর থেকে বাড়ি ফিরে আসে তাহলে অবশিষ্ট দিন পানাহার থেকে বিরত থাকবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৬/২২১)
তিন. তদ্রূপ দিনের বেলা কোনো নারীর ঋতুচক্র বন্ধ হলে অবশিষ্ট দিন পানাহার থেকে বিরত থাকবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৬/২২০; মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক : ৪/১৭০)
Post a Comment
Thank you for your feedback. Stay with us.